জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নের বালুকাপাড়া গ্রামে ঘটে গেল চাঞ্চল্যকর একটি ঘটনা। স্ত্রীকে রাগের মাথায় ‘তিন তালাক’ দেওয়ার পর আবারও একই স্ত্রীকে বিয়ে করেন স্থানীয় দিনমজুর আবদুল জলিল প্রামাণিক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য মাতব্বরেরা তাঁকে সমাজচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেন।
প্রায় দেড় বছর ধরে জলিলকে গ্রামের কোনো সামাজিক কাজে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। অসহায় অবস্থায় তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে নালিশ করেন। বিষয়টি মীমাংসার জন্য ইউএনও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেন। কিন্তু এর জের ধরেই সম্প্রতি জলিল প্রামাণিকের ওপর হামলা চালানো হয় এবং তাঁকে মারধর করে হাত ভেঙে দেওয়া হয়।
পরে তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এবং তা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। তবে এজাহারে সমাজচ্যুত রাখার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি।
কেন এমন ঘটনা ঘটে?
বাংলাদেশের গ্রামীণ সমাজে অনেক সময় ধর্মীয় ও সামাজিক নিয়মকানুনকে কেন্দ্র করে এ ধরনের দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। বিশেষ করে তালাক ও পুনর্বিবাহের মতো সংবেদনশীল বিষয়কে ঘিরে স্থানীয়ভাবে সালিস বসানো হয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে এসব সালিস আইনের বাইরে গিয়ে নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটায়।
আইন কী বলে?
বাংলাদেশের আইনে তিন তালাক বৈধ নয়। একই নারীকে পুনরায় বিয়ে করা আইনি প্রক্রিয়ায় সম্ভব। কিন্তু কাউকে সমাজচ্যুত করা বা শারীরিকভাবে আঘাত করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
উপসংহার
এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে, আইনকে পাশ কাটিয়ে গ্রাম্য প্রভাবশালীদের সিদ্ধান্ত অনেক সময় সাধারণ মানুষের জীবনে বড় ধরণের ক্ষতি ডেকে আনে। তাই এমন ঘটনার শিকার হলে অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দ্রুত অভিযোগ করা জরুরি।
---
👉 কীওয়ার্ড সাজেশন (SEO Friendly):
তিন তালাক বাংলাদেশ
সমাজচ্যুতি গ্রাম বাংলাদেশ
জয়পুরহাট সংবাদ
দিনমজুর নির্যাতন
গ্রাম্য সালিস
0 Comments