বাংলার এক প্রত্যন্ত গ্রামে থাকত রাশেদ নামের এক তরুণ। বাবা কৃষক, মা গৃহিণী—তাদের সংসার খুব ধনী ছিল না,🇧🇩 তবে সুখ-শান্তিতে দিন কাটত। রাশেদ ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় ভালো ছিল। তার স্বপ্ন ছিল একদিন শহরে গিয়ে পড়াশোনা করে বড় মানুষ হওয়া।
গ্রামে প্রায়ই বিদ্যুৎ চলে যেত। সেসব রাতে রাশেদের ভরসা ছিল তার বাবার পুরোনো একটি লণ্ঠন। 🇧🇩ছোট্ট মাটির ঘরে বসে লণ্ঠনের আলোয় সে পড়াশোনা করত। আলোটা যদিও খুব উজ্জ্বল ছিল না, তবুও রাশেদের কাছে সেটাই ছিল আশার আলো।🇧🇩
এক রাতে হঠাৎ লণ্ঠনটি হারিয়ে গেল। ঘর, বারান্দা, উঠান—সবখানে খুঁজেও পাওয়া গেল না। লণ্ঠন ছাড়া পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গেল রাশেদের। সে মন খারাপ করে শুয়ে পড়ল।🇧🇩
পরদিন সকালে মাঠে যেতে গিয়ে রাশেদ দেখতে পেল পাশের ছোট্ট ছেলেটি লণ্ঠনটা নিয়ে খেলছে। কাছে যেতেই ছেলেটা বলল,
— “ভাইয়া, আমি ভেবেছিলাম এটা পুরোনো ভাঙা জিনিস। আমি খেলতে নিয়ে এসেছিলাম। এটা যে এখনো আলো দেয়, বুঝতেই পারিনি।”
রাশেদ কিছুক্ষণ ছেলেটির দিকে তাকিয়ে রইল। রাগ করার বদলে সে হেসে বলল,
— “কোনো সমস্যা নেই। তবে এই লণ্ঠন আমার জন্য খুব দরকারি।”
সে লণ্ঠনটা নিয়ে আবার ঘরে ফিরল। সেদিন রাতে লণ্ঠনের আলোয় যখন পড়তে বসেছিল, তখন তার মনে হলো—এই আলো শুধু বইয়ের পাতাই নয়, তার ভবিষ্যতকেও আলোকিত🇧🇩 করছে।
সময়ের সাথে রাশেদ অনেক দূর এগিয়ে গেল। পড়াশোনা শেষ করে সে গ্রামে ফিরে এসে স্কুল গড়ে তুলল, যাতে গ্রামের অন্য শিশুরাও শিক্ষার আলো পায়। গ্রামবাসীরা বলে, রাশেদের পুরোনো লণ্ঠনের আলো একসময় শুধু একটি ঘরকে আলোকিত করেছিল, কিন্তু পরে সেই আলো🇧🇩 পুরো গ্রামকে আলোকিত করল।
0 Comments